কালিহাতী প্রতিনিধি: কালিহাতী উপজেলায় বড় ভাইয়ের হাতে ছোটভাই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বলছে, সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বে ছোট ভাই মুকুলকে হত্যা করে বন্ধুর সহায়তায় মাটিতে পুঁতে রাখে বড়ভাই সোহেল। রবিবার টাঙ্গাইল পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
১২ ফেব্রুয়ারি কালিহাতীর পারখি বগা বিল থেকে মুকুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তারপর তদন্তে নেমে পিআইবি শনিবার রাতে গাজীপুর ও ঢাকা থেকে সোহেল এবং তার বন্ধু শ্রী পরেশ চন্দ্র শীলকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সোহেল কালিহাতীর হানিফার ছেলে ও পরেশ দিনাজপুরের চিরির বন্দরের দগরবাড়ী গ্রামের মৃত রমনী কান্ত শীলের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই টাঙ্গাইলের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান আনসারী জানান, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে মুকুলের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর বড় ভাই মো. সোহেল ও নাজমুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সন্দেহ হয়। পরে শনিবার রাতে তাঁদের ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পিবিআই টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমীন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২৭ জানুয়ারি থেকে মুকুল (২৪) নিখোঁজ ছিলেন। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোরে পারখী চকপাড়ার ধানখেতে পুঁতে রাখা লাশের কিছু অংশ মানুষ দেখতে পান। খবর পেয়ে গলিত লাশটি পুলিশ উদ্ধার করে। নিখোঁজ মুকুলের স্বজনেরা তাঁর পরনের পোশাক দেখে লাশটি শনাক্ত করেন।
পিবিআই পুলিশ সুপার বলেন, জরুরি প্রয়োজন আছে বলে মুকুলকে পারখিতে ডেকে আনেন সোহেল। নিজের গলায় থাকা মাফলার পেঁচিয়ে মুকুলকে হত্যা নিশ্চিত করেন তিনি। কোদাল দিয়ে গর্ত করে সেখানে পুঁতে রেখে চলে যান। এরপর থেকে সোহেল মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দেন।
তিনি আরো জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারি মুকুলের স্ত্রী লিমা আক্তার (১৯) বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানো হবে। গত বৃহস্পতিবার মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় টাঙ্গাইল পিবিআই।
টাঙ্গাইল পিবিআই কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা।