সুলতান কবির: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া আবেদা খানম গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৮৩ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ার সকাল ১০টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল সদর আসনের সাংসদ আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন। উদ্বোধক ছিলেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার হাসান-বিন-মুহাম্মদ আলী।
আবেদা খানম গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মৌলভী মোর্শেদ আলী খান পন্নী, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও বন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইঞ্জিনিয়ার মোঃ খালেকুজ্জামান, জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা, করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু প্রমুখ। এছাড়াও বিদ্যালয়ের গর্ভনিং বডির সদস্য আশিষ কুমার রায়, গর্ভনিং বডির সদস্য ও করটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এমদাদুল হক এনামুল উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বেলুন, ফেস্টুন ও কবুতর উড়ানোর পাশাপাশি মশাল জ্বালিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের পর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ খলিলুর রহমান অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরেন। এরপর শুরু হয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও মিউজিক্যাল ডিসপ্লে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যোগ দেয়। শিক্ষার্থীরা দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে একটি চমৎকার মিউজিক্যাল প্রদর্শনীর মাধ্যমে। এরপর যেমন খুশি তেমন সাজো, গর্ভনিং বডির সদস্য, অভিভাবক-শিক্ষক ক্রীড়া ইভেন্ট এবং শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য উপস্থিত সকলের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
ডিসপ্লে পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন প্রভাষক মো. রেজাউল করিম ও মানস চক্রবতী। ক্রীড়া পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন নাজমুন নাহার খানম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আবেদা খানম গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ সোহেল রানা ও সিনিয়র শিক্ষক মাসুদা সুলতানা।
প্রধান অতিথি বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং শিক্ষামূলক বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের অসাধারণ উপস্থাপনার প্রশংসা করে তার অনুভূতি প্রকাশ করেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে ভবিষ্যতে আবেদা খানম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সুনাম ধরে রাখার আহ্বান জানান।