নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে পূর্ণমন্ত্রী না দেওয়া হলেও প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর- দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটুকে। আওয়ামী লীগ সরকারে পরপর কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পাওয়া টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এবার মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভা থেকে ডাক পাওয়া আহসানুল ইসলাম টিটু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে সেটি তিনি জানেন না বলে জানান। এদিকে আহসানুল ইসলাম টিটু প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ডাক পাওয়ায় খুশি নাগরপুর- দেলদুয়ার উপজেলার নেতাকর্মীরা।
নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুদরত আলী বলেন, আহসানুল ইসলাম হক টিটু প্রতিমন্ত্রী হওয়ার উচ্ছ্বসিত এই আসনের নেতাকর্মীরা। খবর পাওয়ার পরই এলাকায় এলাকায় মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ মিছিল করা হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম তিনি মন্ত্রী হোক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আশা স্বপ্ন পূরণ করেছেন। এলাকার ব্যাপক উন্নয়নসহ মানুষের ভাগ্যে বদলে টিটু সাহেব কাজ করবেন।
দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শিবলি সাদিক বলেন, প্রথম এই আসনে মন্ত্রী পেলাম আমরা। এই খুশি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি এই আসনসহ জেলার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা গ্রহণ করবেন।
অপরদিকে আহসানুল ইসলাম হক টিটু একজন পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ এবং রাজনীতিবিদ। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেটে টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর- দেলদুয়ার) আসনে সংসদ সদস্য হন। এছাড়া তিনি ২০১৩-১৪ মেয়াদে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেটে আবারও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এবার প্রতিমন্ত্রীর ডাক পেলেন। ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত টিটু সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বাবা আলহাজ মকবুল হোসেন ঢাকা-৯ আসন থেকে ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
অন্যদিকে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এবার মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। প্রভাবশালী এই নেতা মন্ত্রিত্ব না পাওয়ায় হতাশ জেলার দলীয় নেতাকর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির বিষয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে বেফাঁস মন্তব্য করায় তাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয়বার ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হন। এরপর ২০১৯ সালে তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।