ভূঞাপুর প্রতিনিধি: ভূঞাপুরে নেশার টাকা না দেওয়ায় শফিকুল ইসলাম (৬০) নামে এক অটোরিকশা চালককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলে হেলাল মিয়ার (২৬) বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার বেতুয়া পলিশা উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ছেলে মোঃ হেলাল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর রাত ১১ টার দিকে হেলাল মিয়া তার বাবার কাছে নেশার জন্য টাকা চান। টাকা না দেওয়ায় বাড়ির উঠানে মায়ের সামনে কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হয় তিনি। পরে বাবার চিৎকারে হেলালের বড় ভাই দুলাল মিয়া ঘর থেকে বের হয়ে এগিয়ে আসলে সে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এরপর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার অবস্থাজনক হলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখানকার চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসকরা তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে বাড়িতে নিয়ে আসতে বলে। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
এরপর শফিকুল ইসলামকে বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার রাতে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করে। মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর সকালে হেলাল মিয়ার মা শেফালী বেগম ভূঞাপুর থানায় তার ছেলের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক ছেলে হেলাল মিয়াকে গ্রেফতার করে।
ঘাতক ছেলে হেলাল মিয়ার মা শেফালী বেগম বলেন, আমার ছেলে বখাটে ও নেশাগ্রস্থ ছিল। কোনো কাজ-কর্ম করতো না। নেশার টাকা জোগাতে না পেয়ে তার বাবার সাথে ঝগড়ার একপর্যায়ে মাথায় আঘাত করে এবং গুরুতর আহত হয়। পরে গত সোমবার রাতে বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ নিয়ে থানায় হেলালের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করি।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ্ বলেন, হেলাল মিয়ার মা শেফালী বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করে টাঙ্গাইল কোর্টে প্রেরণ করা হয় এবং তার বাবা শফিকুল ইসলামের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেলাল মিয়া তার বাবাকে আঘাত করার দায় স্বীকার করেছে।