নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি; টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই ও টাঙ্গাইল জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বাদী কলেজছাত্রী এশা মির্জার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার, ১৮ নভেম্বর বিকেলে তার মৃত্যুর খবর জানার পর পুলিশ টাঙ্গাইল পৌরসভার বোয়ালী এলাকার বাসায় গিয়ে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে।
এর আগে গত চলতি বছরের ৫ এপ্রিল রাতে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওই কলেজছাত্রী টাঙ্গাইল সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনির ও তার স্ত্রী নিগার আফতাবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সম্প্রতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনির উচ্চ আদালতে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হয়েছেন।
এশা মির্জার বোন লুনা মির্জা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে তার সাথে এশার মুঠোফোনে সর্বশেষ কথা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে তার ননদ আমার স্বামীকে ফোন করে জানায় এশা দরজা লাগিয়ে দিছে। তার ছেলে কান্না করছে। দরজা ধাক্কার দেয়ার পরও দরজা খুলে নাই। পরে তার ননদ দরজা ভাঙার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু ছালাম মিয়া বলেন, সুরুতহাল ও ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সরফুদ্দিন বলেন, ঘটনা জানার পর পুলিশ তার বাসায় গেছে। ক্রাইম সিন ইউনিট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, মামলার পরে ওই কিশোরী ৬ এপ্রিল আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন। এদিকে, ওই নারীকে অন্তঃসত্ত্বা প্রমাণ পেলেও ধর্ষণের আলামত পায়নি মেডিক্যাল বোর্ড। ৩০ জুন শুক্রবার, সন্ধ্যার দিকে টাঙ্গাইল শহরের ব্যুরো হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে ওই কিশোরী ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এর পর ধর্ষণের শিকার ওই নারীর গর্ভে জন্ম নেয়া নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। ৯ অক্টোবর নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের ফল পক্ষে আসায় ধর্ষণ মামলার আসামি বড় মনিরকে জামিন দিতে আপিল বিভাগের বেঞ্চ আদেশ দেন।