মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম ওফাতবার্ষিকী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন।
মওলানা ভাসানীর পরিবার, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, মুরিদান, ভক্ত, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। মওলানা ভাসানীর দরবার হলের চারপাশে তিন দিনব্যাপী মেলা বসেছে। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং ক্যাম্পাসে অবস্থিত শাহ্ নাসিরউদ্দিন বোগদাদী এতিমখানায় কোরআন খতম ও এতিমদের জন্য খাবার পরিবেশন করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের এই দিনে আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে শোষণ ও বঞ্চনাহীন গণতান্ত্রিক দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল। শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। এছাড়া, তিনি বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্ম হলেও তিনি তাঁর জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। মওলানা ভাসানী তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের একজন ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতিও ছিলেন তিনি।