গোপালপুর প্রতিনিধি: গোপালপুর উপজেলার যমুনা তীরে শাখারিয়ায় অস্থায়ী বেদে পল্লীতে অবাধে দেশি প্রজাতির ঘুঘু, শালিক ও বক পাখি নিধন করে আনতে দেখা গেছে।
ভুঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের পশ্চিমে যমুনার তীরে শাখারিয়া নামক স্থানে সরেজমিনে অস্থায়ী বেদে পল্লী ঘুরে জানা যায়, ১০ দিন আগে ১৫-২০টি বেদে পরিবার অস্থায়ী ছাউনি তুলে আস্তানা গড়েছেন। প্রত্যকটি ছাউনির সামনে মাটির চৌকা চুলোয় চলছে রান্নার প্রস্তুতি। পুরুষ বেদেরা সাপ পুষতে ব্যস্ত। কেউ শিকার করে আনা পাখি কাটতে ব্যস্ত ।
একজন বেদে জানান, তাদের মধ্যে একটি গ্রুপের কাজ বাটুল দিয়ে পাখি নিধন করা। এদের থেকে অন্য বেদেরা কিনে নিয়ে রান্না করে খায়। নিধন করা অনেকগুলো ঘুঘু ও শালিক পাখি কাটতে থাকার দৃশ্য ধারণ করতে গেলে ও পাখি নিধন দণ্ডনীয় অপরাধ জানালে, ক্ষিপ্ত হয়ে একজন বেদে বলেন, আমরা গরিব মানুষ। এগুলো কিনে এনেছি, যারা এগুলো নিধন করেছে, তাদের পারলে কিছু করুন।
শাখারিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, প্রত্যেকটি বেদে ছাউনীর সামনে শিকার করে আনা শত শত পাখি এভাবে কাটতে দেখে ব্যথিত হয়েছি।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল মোর্শেদ বলেন, পাখি নিধন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এখনি হেমনগর তদন্ত কেন্দ্রের আইওসিকে বিষয়টি জানাচ্ছি তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসফিয়া সিরাত মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি প্রথম আপনার কাছে জানলাম। বেদে পল্লীতে পাখি নিধন বন্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।