বাসাইল প্রতিনিধি: বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়াকে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার, ২৩ আগস্ট দুপুরে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মাহাবুবুর রহমান এ আদেশ দেন।
জানা যায়, সাকিব মিয়া বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাসাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে। মামলার সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৪ মে দিবাগত রাতে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়া এক অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাবে বলে ওই গৃহবধূর স্বামীর মোটরসাইকেল নিতে আসেন।
মোটরসাইকেল নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই গৃহবধূর স্বামীকে ত্রুটির কথা বলে ডেকে নেন। এরই ফাঁকে তার সহযোগী সাইদুল মিয়া ও শাহেদ মিয়ার সহযোগিতায় সাকিব মিয়া ওই গৃহবধূকে কৌশলে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় গত ১৬ মে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর তারা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সাকিব নিম্ন আদালতে হাজির হন। পরে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জিনিয়া বখশ বলেন, মামলার প্রধান আসামি সাকিব মিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে মামলার বাকি দুই আসামি সাইদুল ও শাহেদ ১৫ দিন কারাভোগের পর নিম্ন আদালত থেকে ২৩ জুলাই ফের জামিন পান।