সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুর উপজেলার কালিয়াপাড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে তিন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় এবার কোন শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। শুক্রবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় এই তথ্য জানান।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন জানান, ২০২১ সালে একজন ও ২০২২ সালে দুজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছে। এবার তিনজন শিক্ষার্থী পড়াশোনায় খুবই দুর্বল ছিল। ফলে তারা পাস করতে পারেনি। আগামী বছর ১৭ জন পরীক্ষা দেবে। তখন নিশ্চয়ই ভালো ফল করবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালে উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে কালিয়াপাড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করলেও বিদ্যালয়টি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ ১১ জন শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী আছেন। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৬। বিদ্যালয়টি ২০২১ সালে প্রথম এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি পায়। ওই বছর মাত্র একজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে। ২০২২ সালে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দুই হয়। দুজনই পাস করে। এবার ওই বিদ্যালয় থেকে তিনজন পরীক্ষা দিয়ে কেউ পাস করতে পারেনি। এতে এমপিওভুক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা চাকরি করছি, কিন্তু বেতন পাইনি। এবার সবাই পাস করলে বেতনের জন্য আবেদন করতে পারতাম। আমাদের বিদ্যালয়ের পেছনের দুই বছর শতভাগ পাস ছিল। এবার পাসের হার শূন্য হওয়ায় আমরা বেকায়দায় পড়ে গেলাম।
বিদ্যালয়টির ফেল করা পরীক্ষার্থীর মধ্যে কোকিলা আক্তার জানান, গণিত পরীক্ষাটি খারাপ হওয়ায় পাস করতে পারেনি।
এছাড়া, উপজেলার ইছাদিঘী দাখিল মাদরাসার ১৮ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে কিন্তু কেউ পাস করেনি। ইছাদিঘী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল হাই বলেন, গত বছর পাসের হার ভাল ছিলো। এবার পাসের হার শূন্য হওয়ায় আমরা বেকায়দায় পড়ে গেলাম। প্রায় সবাই গণিত ও ইংরেজি পরীক্ষায় খারাপ হওয়ায় পাস করতে পারেনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, উপজেলায় মাত্র একটি বিদ্যালয়ে ফলাফলের শতকরা হার শূন্য হয়েছে। ফলে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে মনে হচ্ছে। এছাড়া, মাদ্রাসার ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে কারণ দশানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।