ভূঞাপুর প্রতিনিধি: ভূঞাপুরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ আন্তঃপ্রাথমিক ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা চলাকালে ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহীউদ্দিনের বিরুদ্ধে মঞ্চ ভাঙচুর ও বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে কটুক্তিমূলক কথাবার্তা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই বেলা ১১ টায় ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ আন্ত:প্রাথমিক ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা চলছিল। সকাল ১১ টার দিকে খেলা চলাকালীন সময় ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহীউদ্দিন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে মঞ্চের কাছে এসে খেলা বন্ধ করতে বলেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন একদল পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ভূঞাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ খানম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ আন্তঃপ্রাথমিক ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা চলাকালে ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহীউদ্দিন কতিপয় শিক্ষক এবং ৭০/৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে মঞ্চের কাছে এসে খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের ভ্যানচালক ও মুর্খ বলে কটুক্তি করেন এবং খেলা বন্ধ করতে বলে। একপর্যায়ে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন- কার পারমিশন নিয়ে এই মাঠে খেলা পরিচালনা করছেন। এটা কি ‘ইউএনও’র বাবার মাঠ। এটা আমার মাঠ, বলেই মঞ্চ ভাঙচুর ও ব্যানার ছিঁড়েন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, ভূঞাপুর সরকারি পাইলট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহীউদ্দিন হুট করে এসে আমাদের শিক্ষকদের ভ্যানচালক, গন্ড মুর্খ বলে। পরে প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মঞ্চ ভাঙচুরসহ ইউএনও’কে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করে। এমন ঘটনায় তার বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহীউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট দীর্ঘদিন যাবত এ মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কিন্তু খেলা চলাকালীন সময়ে আমাদের ক্লাশ কার্যক্রমে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেটি মাথায় রেখে আমার সাথে সমন্বয় করার কথা। কিন্তু আমাকে না জানিয়ে খেলা চালাচ্ছে। মঞ্চ ভাঙচুর ও ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে খেলা পরিচালনার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও আমি নিজেই প্রধান শিক্ষককে অবহিত করেছি এবং তাকে সহযোগিতা করতে বলেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।