নিজস্ব প্রতিবেদক: ভূঞাপুর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় একযুগ পর ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা হয়েছে। এতে চরম দুর্গন্ধ, ভোগান্তি থেকে মুক্তি ও স্বস্তি পেয়েছে নগরবাসী। উপজেলা প্রশাসন ও পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপে এ ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধের অবসান ঘটে। পৌর শহরের নিত্যদিনের যানজট নিরসনে পরিত্যক্ত এ জায়গায় বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ভূঞাপুর-গোবিন্দাসী স্কুল রোড-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব আঞ্চলিক মহাসড়কের ভূঞাপুর পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় একযুগ ধরে যত্রতত্রভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছিল পৌর কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে সতেচন নাগারিক মহল, সুধীজন, সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো ওই স্থানে ময়লা ফেলা বন্ধে প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়ে আসছিল। অবশেষে কর্তৃপক্ষের নতুন সিদ্ধান্তে এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করে।
ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে কলেজ ও স্কুল শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন, শিউলী আক্তার, জাকির হোসেন ও আবির হোসেনসহ আরও অনেকেই বলেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলার এ জায়গাটি ছিল ভূঞাপুরের প্রবেশ পথ। এখানে ময়লার দুর্গন্ধে নাক-মুখ ঢেকেও চলাচল করা যেত না। অবশেষে কয়েক সপ্তাহ ধরে ময়লা ফেলা বন্ধ হওয়ায় আগের মতো আর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে না। ফলে আমরা স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারছি।
স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন প্রতিভা ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ রেজওয়ানুল করিম রানা বলেন, পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ডে যে জায়গাটিতে দীর্ঘদিন ময়লা-আবর্জনা ফেলা হতো সেটি পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র। ময়লা ফেলায় দুর্গন্ধে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করাই যেত না। উপজেলা প্রশাসন ও পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপে কয়েক সপ্তাহ ধরে ময়লা ফেলা বন্ধ হওয়ায় দুর্গন্ধ নেই। ময়লা ফেলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
ভূঞাপুর পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌর শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হতো। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে এখানকার লোকজন ও পথচারীরা। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের যৌথ পদক্ষেপে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া যেহেতু পরিত্যক্ত জায়গাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। তাই ইউএনও’র সঙ্গে আলোচনা করে ওই স্থানে বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বেলাল হোসেন জানান, ভূঞাপুরের প্রবেশ পথে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে এ উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পৌর মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করে কয়েক সপ্তাহ আগে ওই স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে যৌথভাবে নিষেধ করা হয়েছে। এ নিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া পৌর শহরের যানজট নিরসনে পরিত্যক্ত স্থানটিতে বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।