মির্জাপুর প্রতিনিধি: মির্জাপুরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও চেয়ার ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেলে শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর অনুসারীদের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমন্তের অনুসারীদের মধ্যে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে সম্মেলনের কার্যক্রম কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে জেলা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসলেও দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রয়নে সদরের কলেজ রোডে আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় ও সৈয়দ টাওয়ারের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
জানা গেছে, দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পর শনিবার মির্জাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাজী আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দ সঞ্চালনা করেন।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মেজর (অবঃ) আব্দুল হাফিজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ আহম্মদুল্লাহ জুয়েল, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল গোস্বামী, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি, নাবিলা নোহাত চৈতি ও সদস্য ডা. সালাম প্রামানিক, টাঙ্গাইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মির্জা আনোয়ার হোসেন বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মাতিনুজ্জামান খান সুখন প্রমুখ।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাজী আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দ জানান, নির্ধারিত সময়ে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়ে প্রথম পর্বে নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা চলছিল। এসময় সময় মিলনায়তনের মাঝখানে বসার স্থান নিয়ে দুই কর্মীর মধ্যে বাকবিতন্ডা হলে হাতাহাতি ও চেয়ার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে ৫ জন সভাপতি ও ৩ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ঘোষণা দেন। জেলা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আলাপ আলোচনা মাধ্যমে কমিটি গঠনের লক্ষে বৈঠক চলছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বলেন, মির্জাপুর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একটি রেওয়াজ রয়েছে , মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃত্ব মির্জাপুর উপজেলার নেতৃবৃন্দই নির্ধারণ করে থাকেন। কোন কারণ ছাড়াই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সেই রেওয়াজ ভঙ্গের জন্যই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
সন্ধ্যায় জেলা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদককে নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অফিসে কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে বৈঠক করছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বৈঠক চলছিল। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।