নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে র্যাব কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতের মামলায় দুজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
টাঙ্গাইলের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান সোমবার (১২ জুন) বিকেলে এই আদেশ দেন। পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন গোপালপুর উপজেলার সেনের মাকুল্যা গ্রামের ফজল হকের ছেলে বাবুল শেখ ও আমজাদ খাঁর ছেলে কালাম। তিন বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হচ্ছেন একই গ্রামের নুরু মণ্ডলের ছেলে সবুজ।
দণ্ডিত বাবুল ও কালামকে ১১ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও সাত মাসের কারাদণ্ড এবং সবুজকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের কথা রায়ে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মামলার আসামি নুরু মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি এস আকবর খান জানান, ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১২ (র্যাব) এর ৩ নম্বর কোম্পানির অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মাহফুজুল হকের নেতৃত্বে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের জন্য গোপালপুর উপজেলার সেনের মাকুল্যা গ্রামে যান। তাঁরা অস্ত্র ক্রেতার ছদ্মবেশে বাবুল ও মামুনের সঙ্গে অস্ত্র কেনার জন্য দামাদামি করেন। বাবুল র্যাব সদস্যদের অস্ত্র দেখান। এ সময় র্যাব সদস্যরা বাবুলকে হাতকড়া লাগিয়ে দেন। এ ছাড়া মামুনকে মেজর মাহফুজুল হক ধরে ফেলেন। তাঁদের চিৎকারে আশপাশ থেকে অন্য আসামিরা চলে আসে। মেজর মাহফুজুল হককে ছুরিকাঘাত করেন সবুজ। এ সময় বাবুল ও মামুন পালিয়ে যান।
মেজর মাহফুজুল হককে উদ্ধার করে ঘাটাইল সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনার ব্যাপারে র্যাব সদস্য বাবুল হোসেন বাদী হয়ে ওই দিনই গোপালপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলা চলাকালে আসামি মামুন র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিতরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।