গোপালপুর প্রতিনিধি: গোপালপুর উপজেলায় একমাত্র মেয়ে রিয়া মনি আক্তার মীম (১৬) হ'ত্যা মামলার আসামী তার মাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে মীমের বাবা গোলাম কিবরিয়া তালুকদার রিপন বাদী হয়ে মেয়ে হ'ত্যার অভিযোগে মা ও খালাকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন, ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা গ্রামের শাহজাহান আলীর দুই মেয়ে নিহতের মা সালমা বেগম ও খালা শারমিন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চাকুরীর সুবাদে মীমের বাবা টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে থাকেন। সদ্য এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ করা মেয়েকে নিয়ে মা সালমা বেগম গ্রামের বাড়ী হেমনগর ইউনিয়নের নলিন তালুকদার পাড়ায় বসবাস করেন। বাবা বাড়ীতে না থাকায় মাঝে মধ্যেই সালমা বেগম মেয়েকে শারীরিক ও মানষিক অত্যাচার-নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে প্রায়ই মা-মেয়ের সাথে ঝগড়া হত। গত বৃহস্পতিবার ঝগড়ার পর বিকালে মীমের মা তার বাবার বাড়ী ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা গ্রামে যায়। সেখান থেকে তার ছোট বোন শারমিনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে সাথে নিয়ে রাতে বাড়ি ফিরে আসেন।
নিহতের বাবা গোলাম কিবরিয়া রিপন তালুকদার জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে শ্যালিকা শারমিন তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানান, মীম অসুস্থ হওয়ায় ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি কর্মস্থল থেকে ফিরে এসে মীমের লাশ বাড়ীর পাশে এক বাগানে দেখতে পান।
পরে তিনি জানতে পারেন, পারিবারিক কলহের জেরে তার স্ত্রী সালমা বেগম ও শ্যালিকা শারমিন অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে মীমকে গলায় উড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হ'ত্যা করেছে। মৃত্যুর বিষয়টি অন্য দিকে প্রভাবিত করার জন্য কৌশলে মেয়ের মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে থানা পুলিশ লাশের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন করার সময় লাশের নাক মুখ দিয়ে রক্ত ও ফেনা এবং গলায় কালচে দাগ পাওয়া যায়।
গোপালপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, নিহতের বাবা বাদি হয়ে তার স্ত্রী ও শ্যালিকাকে আসামী করে মামলা করেছেন। পুলিশ মা সালমা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।