বাসাইল প্রতিনিধি: বাসাইল উপজেলায় তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা নাহিদ মিয়া (২৪) ওষধি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ‘ব্ল্যাক রাইস’ ধান চাষে করে সফলতা লাভ করেছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি শখের বসে ৫০ শতাংশ জমিতে এ ধানের চাষ করেন তিনি। এতে বাম্পার ফলন হয়েছে। নাহিদ মিয়া বাসাইল পৌরসভার পশ্চিম পাড়া গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে এবং সরকারি সা’দত কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র।
জানা যায়, উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের সেহরাইল গ্রামে নাহিদ মিয়া নিজেদের ৫০ শতাংশ জমিতে নিজ উদ্যোগে ‘ব্ল্যাক রাইস’ ধান চাষ করেছেন। বাতাসের সাথে দোল খাওয়া ‘ব্ল্যাক রাইস’ ধানগুলো দেখতেও খুব সুন্দর। তার ধানক্ষেত দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন। তার জমির ধান দেখে পার্শ্ববর্তী অনেক কৃষক ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ভিয়েতনামি ‘ব্ল্যাক রাইস’ ধানের বীজ অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করে নিয়ে আসেন তিনি।
তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা নাহিদ মিয়া জানান, ইউটিউবে প্রথম এ ধানের চাষাবাদের বিষয়ে দেখেন ও বিস্তারিত জানেন। পরে অনলাইনে থেকে ‘ব্ল্যাক রাইস’ ধানের বীজ সংগ্রহ করেন। ৫’শ টাকা কেজি দরে ভিয়েতনামি ব্ল্যাক রাইসের ৫ কেজি ধান বীজ সংগ্রহ করেন। ৫ কেজি বীজ ২৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। ৫০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করতে মোট খরচ হয়েছে ৬-৭ হাজার টাকা। এই ধান তিন মাসের মধ্যে কাটা যায়। তিনি আশা করছেন ৫০ শতাংশ জমিতে ৪০-৪৫ মণ ধান পাবেন।
তিনি আরও জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি শখের বসে এই ধান প্রথমবারের মতো চাষ করেছেন। প্রথমবার চাষ করে সাফলতা পেয়েছেন। জমিতে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি আশা করছেন এই ধান চাষ করে লাভবান হবেন। সামনের বছর আরও বেশি করে ‘ব্ল্যাক রাইস’ ধান চাষ কররেন। এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও এই ধান চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অনেকেই এই ধানের বীজের জন্য অগ্রিম অর্ডার করেছেন। তাই এ ধান বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করে অল্প দামে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতেন চান তিনি।
টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহসানুল বাসার বলেন, ‘ব্ল্যাক রাইস’ ধানটি অনুমোদিত বীজ থেকে উৎপাদন করা হয়নি, তাই এ বিষয়ে আমি কোন বক্তব্য দিতে রাজি নই।