টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের

টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের

টাঙ্গাইল

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের তারটিয়া গ্রামের এলেংজানী নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি বিক্রির ঘটনায় ফসলি জমি দিয়ে ট্রাক নিতে বাঁধা দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা করেছে বালু খেঁকোরা। এতে দুই বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার পর এক আসামী গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

হামলায় আহতরা হচ্ছেন উত্তর তারটিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এস হায়দার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দুলাল হোসেন ও মোঃ একাব্বর আলী। এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দুলাল হোসেন বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হায়দার আলী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘারিন্দার রাশেদ খানের হস্তক্ষেপে তার বোন জামাই সালাম খান দীর্ঘদিন যাবত নওগাঁ ও তারটিয়া গ্রামের এলেংজানী নদী থেকে রাতে আধারে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে। প্রথমে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম হায়দার আলী তার জমি দিয়ে ট্রাক নেয়ার অনুমতি দিলেও পরবর্তীতে তিনি মৌখিকভাবে না করেন। সালাম খান বিষয়টি না শোনায় তিনি ফসলি জমির উপর বাঁশ দিয়ে বেড়া দেন।

গত ৯ মে সেই বাঁশের বেড়া উঠিয়ে সালাম খান ট্রাক নেয়ার চেষ্টা করে। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম হায়দার আলী এগিয়ে গিয়ে বাঁধা দিলে তার উপরে হামলা করে। তার আত্মচিৎকারে তার ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দুলাল মিয়া ও একাব্বর আলী এগিয়ে গেলে তাদের উপরও হামলা করেন তারা। তাদের লাঠির আঘাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম হায়দার আলী ও একাব্বর আলীর ডান পা ভেঙে যায়। তারা বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ১৪ মে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দুলাল মিয়া বাদি হয়ে সালাম খানকে প্রধান আসামী করে চারজনের নামে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করা করে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হায়দার আলী বলেন, ঘারিন্দার রাশেদ খানের কথায় আমার ফসলি জমির উপর দিয়ে প্রথমে ট্রাক নেয়ার অনুমতি দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে আরেক জমি দিয়ে ট্রাক নিতে গেলে সেখানে বাঁধা দেই। তারপর মাটি খেকো সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা করে। এতে আমরা তিনভাই গুরুতর আহত হই। অবৈধ মাটির ট্রাক যেতে বাঁধা দেয়ায় যদি বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা হয়, সেটা কল্পনাও করি নাই। আমি মাটি খেকো সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে রাশেদ খান বলেন, আহতরা সবাই আমার আত্মীয়। এ বিষয়ে সমাধানের চেষ্টা করছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মামলার পর মৃদুল নামের এক আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *