মধুপুর প্রতিনিধি: মধুপুর উপজেলায় ফিলিপাইন থেকে আমদানীকৃত এমডি-২ জাতের আনারসের চারা চাষীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (১০ মে) দুপুরে মধুপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ওই চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব বরীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীনের সভাপতিত্বে ওই চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা খামার বাড়ির সরজমিন উইং পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা, কৃষি মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ রাজীব সিদ্দিকী, টাঙ্গাইলের উপ-পরিচালক আহসানুল বাসার, মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ আহমেদ নাসির, নারী ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল।
এ সময় ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ফিলিপাইন থেকে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে আমদানীকৃত পাঁচ লাখ ৪০ হাজার চারার মধ্যে মধুপুরে দুই লাখ ৭০ হাজার এমডি-২ জাতের আনারসের চারা ১২০জন চাষীর মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, মধুপুর গড়াঞ্চলে এমডি-২ জাতের আনারসের চাষ ও ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৫ থেকে ১৮ মাসে পরিপক্ক হওয়া এ আনারসের চারা বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত জমিতে লাগানো যায়। এ জাতের একটি আনারসের গাছ থেকে ২-৩টি চারা হয়। প্রতিটি দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের এই জাতের আনারস সবগুলো একই সাইজের হয়ে থাকে।
দেশে প্রচলিত যেসব জাতের আনারস পাওয়া যায় তা থেকে এমডি-২ জাতের আনারসে চারগুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। ফল পাকার পর দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করে রাখা যায়, নষ্ট হয় না। ফলের চোখ বাইরে বা ভাসা থাকায় এ জাতের আনারসের ভক্ষনযোগ্য বা খাওয়ার যোগ্য অংশের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। রপ্তানীপণ্য হিসাবে এ জাতের আনারস অনেক বেশি লাভজনক।
মধুপুর থেকে প্রথম আসারস রপ্তানি শুরু হবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন বক্তারা।