নাগরপুর প্রতিনিধি: নাগরপুর উপজেলায় ফরিদ মিয়া (৪০) নামে এক কৃষকের হাত-মুখ বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের বীর সলিল গ্রাম সেচ পাম্পের ঘর থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের তোরাফ আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ফরিদ তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী জমিতে সেচ পাম্প বন্ধ করতে যান। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি।
তার চাচাতো ভাই জাকির হোসেন বলেন, রাত ১১টার দিকে বাড়ির সামনে তার সঙ্গে আমার দেখা হয়। এ সময় ফরিদ আমাকে জানায় সেচ পাম্প (মেশিন) বন্ধ করে বাড়ি ফিরবে।
আরেক চাচাতো ভাই মধু মিয়া বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জমি দেখতে সেচ মেশিন ঘরে যাই। মেশিনঘর বন্ধ থাকায় দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে দেখি ফরিদের নিথর দেহের অর্ধেক চৌকির উপর পড়ে আছে। পা নিচে ঝুলছে। মেশিন ঘরের দরজা খুলে ফরিদের হাত ও মুখ বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। নিহতের গলায় মুখে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তিনি মাদকসেবী ছিলেন। মাদক নিয়ে খুন হতে পারেন বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।