নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ একদিকে যেমন উন্নয়নের ধারায় অগ্রসর হচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে দেশের মধ্যে বৈষম্য আর দুর্নীতি চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের উন্নয়ন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে এই উন্নয়নের ফলাফল জনগন পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, যে আলোচনা হয়েছে তাতে আমরা এখনো জোটবদ্ধ আছি এবং জোটবদ্ধভাবেই নির্বাচনে যাবে। তবে জোটবদ্ধ না হলে নির্বাচন নিয়ে যে ষড়যন্ত্র চলছে সেটি কার্যকর হয়ে যাবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের কন্ডিশন না। আমরা তো একটা অসম্প্রদায়িক গনতান্ত্রিক রাজনীতির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। সেই ঐকটা যতদূর পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক থাকবে ততদিন পর্যন্ত জোট থাকবে। আর বড়দল আওয়ামী লীগ যদি মনে করে তারাই যতেষ্ট তাহলে আমাদের তখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে টাঙ্গাইল জেলা শাখার আয়োজনে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ জোটে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, অসাম্প্রাদায়িক গনতান্ত্রিক রাজনীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের ধারা অব্যাহত রাখার রাজনীতির সাথে সংযুক্ত হয়ে যারা এখানে আসতে চায় তাহলে অবশ্যই তাদের স্বাগত জানানো হবে। কিন্তু যদি রাজনীতিকে পিছনে ফেলে দিতে চান তাহলে নিশ্চই আমরা তাকে স্বাগত জানাবো না।
রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, আমরা ১৪ দলে আছি। আমরা জোটবদ্ধ হয়ে ২০১৪ সালের পর থেকে যেভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে বিএনপি জামায়াত জোট শাসনের পতন ঘটিয়েছি এবং পরবর্তীতে ১৪ দল ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধাপরাধিদের বিচারকে কেন্দ্র করে সারাদেশে বিএনপি জামাত যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল তাও প্রতিরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনে ১৪ দলের মূল যে দল আওয়ামী লীগ, তারা সরকারটাকে আওয়ামী লীগের সরকার বলেই পরিচিত করিয়েছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টি টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান পিপলু, কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, মওলানা ভাসানীর নাতি আজাদ খান ভাসানী প্রমুখ। এতে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির জেলার অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।