ঘাটাইল প্রতিনিধি: ঘাটাইল উপজেলায় চলছে লাল মাটির টিলা কাটার মহোৎসব। কোনভাবেই থামছে না পাহাড় কাটা। মাটি খেকোদের ভেকুর থাবায় প্রতিনিয়ত ধ্বংষ হচ্ছে লাল মাটির পাহাড়। স্থানীয় প্রশাসনের জেল জরিমানা, মাটি ভর্তি ট্রাক ও ভেকু আটক করেও থামেনি মাটি কাটার মহাৎসব।
বৃহস্পতিবার পাহাড়ের লাল মাটি ও ফসলি জমির মাটি বহনের দায়ে ৮টি ১০ চাকার ড্রাম ট্রাক জব্ধ করেছে পুলিশ।
জানা যায়, ঘাটাইল উপজেলার আয়তনের প্রায় অর্ধেকই পাহাড়ী অঞ্চলের মধ্যে নলমা, ছনখালা, গারোবাজার, কাজলা, সাগরদিঘী টেপুকুশারিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কাটার মহাৎসব চলছে। প্রতিবছরই মাটি খেকোরা প্রকাশ্যে পাহাড়ের টিলা কেটে ধংস করলেও পাহাড় কাটার সাথে জড়িত প্রভাবশালীরা থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে। পাহাড়ে বছরের পর বছর এ ধ্বংষলীলা চলার কারনে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ, নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। অপরদিকে গ্রামীণ সড়কে মাটিভর্তি ভারী যান চলাচলের ফলে ভেঙে যাচ্ছে সড়ক।
পাহাড়ের লাল মাটি ও ফসলি জমির মাটি পরিবহনর দায় আজ বহস্পতিবার সকালে পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাটাইল কলেজ মোড় এলাকা থেকে মাটি ভর্তি ১০ চাকার ৮টি ড্রাম ট্রাক জব্ধ করে। পরে মাটি ভর্তি ট্রাকগুলা থানায় নিয়ে যায়। আটক করা ট্রাকের এক চালক সোলায়মান হাসান (২৮) জানান, মালিক গাড়ি চালাতে বলেন তাই চালাই। লালমাটি কাটা অপরাধ কিনা তা জানি না।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, প্রকাশ্যে খোলামেলাভাবেই চলছে পাহাড়ের লালমাটি কাটা। মাটিভর্তি গাড়িও চলে বেপোরায়া। গাড়ির কাগজপত্রও ঠিক নেই। বিভিন্ন অভিযোগে রাতভর উপজেলার পাহাড়ী এলাকা ও টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে ট্রাকগুলো আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিয়া চৌধুরী জানান, মাটি কাটার অভিযোগে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে এটা বন্ধে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।